Wellcome to National Portal
Main Comtent Skiped

একনজর

আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, সমাজসেবা অধিদফতর, সিলেট

এর প্রশিক্ষণ সক্ষমতা ও দক্ষতা উন্নয়ন

ভূমিকা


পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি ও কাঙ্খিত মানোন্নয়নে প্রশিক্ষণের গুরুত্ব সর্বজননিবেদিত। মূলত কর্মী নিয়োগ এবং নির্দিষ্ট পদে তাকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়ার পরই আসে তার প্রশিক্ষণের বিষয়। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মী কার্যসম্পাদন বিষয়ে বাস্তব জ্ঞান, দক্ষতা, যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে এবং অর্পিত দায়িত্ব ও কর্ম সম্পাদনের সর্বশেষ কৌশল সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারে। বর্তমানে রূপকল্প ২০২১, রূপকল্প ২০৪১ এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। আমরা পরিকল্পনা করছি মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরের এবং স্বপ্ন দেখছি উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। সরকারের এই বৃহৎ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ও স্বপ্ন পূরণে সরকারি কর্মচারির দক্ষতা ও সামর্থ্য বৃদ্ধির বিকল্প নেই যা একমাত্র যথোপযুক্ত প্রশিক্ষণের মাধ্যমেই অর্জন সম্ভব। বিষয়টি অনুধাবন করে বর্তমান সরকারের আরেকটি যুগান্তকারী ইনোভেশন বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (অচঅ) তে প্রত্যেক গণকর্মচারির বার্ষিক ৬০ কর্ম ঘন্টা প্রশিক্ষণ পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। এটি নিশ্চিত করার মাধ্যমেই সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনা ও গৃহীত নতুন নতুন কর্মসূচির সাথে সরকারি কর্মচারিদের পরিচিতকরণ ও খাপ খাওয়ানো (ওরিয়েন্টেশন ও এডাপ্টেশন) সম্ভব।

প্রধান কার্যালয়সহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সমাজসেবা অধিদফতরের প্রশাসনিক কাঠামো, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও কর্মসূচি রয়েছে যার জনবল ১২ হাজারের অধিক। এ বিশাল জনবলের প্রশিক্ষণ চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে জাতীয় সমাজসেবা একাডেমি এবং আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র কাজ করে যাচ্ছে। ঢাকা, খুলনা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, বরিশাল ও সিলেট- এ ৬ বিভাগে ৬টি আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মাধ্যমে এ অধিদফতরের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও মনোন্নয়নে কর্মসূচিভিত্তিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়।

উদ্দেশ্য: আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, সমাজসেবা অধিদফতর, সিলেট এর প্রশিক্ষণ সক্ষমতা ও দক্ষতা উন্নয়ন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা ও সুপারিশমালা প্রণয়ন করা। পর্যায়ক্রম আজকের উপস্থাপনা/সেমিনার নিম্নবর্ণিত পর্যায়ধারা পরিচালনা করা হবে।

          প্রশিক্ষণ কী

          প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য

          প্রশিক্ষণের গুরুত্ব

          আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র(আরটিসি), সিলেট এর সংক্ষপ্তি ইতিহাস

          আরটিসি পরিচালিত কোর্সসমূহ

          প্রশিক্ষণ পরিসংখ্যান

          প্রশিক্ষণের র্শতাবলী

          ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা

          চ্যালেঞ্জসমূহ

          সুপারিশমালা

          উন্মুক্ত আলোচনা

          প্রশিক্ষণের সংজ্ঞা

সরকারি প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত কর্মীকে তার বিভিন্ন কাজ সম্পাদন বিষয়ে শিক্ষণ দেয়াই হলো প্রশিক্ষণ। কর্মী নিয়োগ এবং সঠিক স্থানে তাকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়ার পরই আসে প্রশিক্ষণের বিষয়। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মী কার্য সম্পাদন বিষয়ে বাস্তব জ্ঞান দক্ষতা, যোগ্যতা ও অভিজ্ঞাতা অর্জন করতে পারে। কার্য সম্পাদনের সর্বশেষ কৌশল অর্জন করতে পারে। ফলে তার কাজটিও দক্ষতার সাথে করতে পারে। তাই প্রশিক্ষণের হলো কর্মীর সাফল্যের চাবিকাঠি। প্রশিক্ষণ সম্পর্কে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ নি¤েœর বিভিন্ন সংজ্ঞা দিয়েছেন। মাইক্যাল জে জুসিয়াস বলেন, “প্রশিক্ষণ হলো যেকোন প্রক্রিয়া, যা দ্বারা কর্মীর নির্দিষ্ট কার্যসম্পাদন প্রবনতা, দক্ষতা এবং সামর্থ্য বৃদ্ধি পায়।” ম্যাথস এবং জ্যাকসন এর মতে, প্রশিক্ষণ হলো শিক্ষন প্রক্রিয়া যা দ্বারা লক্ষ অর্জনের সহায়ক দক্ষতা, ধারণা, প্রবনতা এবং স্থান বৃদ্ধি পায়। গ্রে ডেসলার এর মতে, “প্রশিক্ষণ সেই পদ্ধতিকেই নির্দেশ করে যা দ্বারা নতুন এবং বর্তমান কর্মিরা তাদের কার্য সম্পাদনের প্রয়োজনীয় দক্ষতা প্রদান করে।” আর. ডবিøউ. গ্রিফিন বলেন, “কার্যগত বা কারিগরি কর্মীদের যে কাজের জন্য নিয়োগ দেয়া হয়েছে তারা সে কাজটি কিরুপে করবে এ সংক্রান্ত শিক্ষাই প্রশিক্ষণ।” উবপবহমড় ধহফ জড়ননরহংড়হ এর মতে, “অনতিবিলম্বে কর্মির বর্তমান কার্য সম্পাদনের জন্য দক্ষতা ও সামর্থ্য বৃদ্দি সংক্রান্ত সমসাময়িক যে প্রোগ্রাম, তাকেই প্রশিক্ষণ বলা হয়।” উপরের আলোচনার আলোকে আমরা বলতে পারি যে, প্রশিক্ষণ হলো একটি ধারাবাহিকত সামাজিক প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে কর্মিদের কার্যসম্পাদন উপযোগী যোগ্যতা, দক্ষতা, সামর্থ্য ও প্রবনতা বৃদ্ধির চেষ্টা করা হয়। ফলে কর্মীদের পেশাগত যোগ্যতা, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি পায় এবং প্রতিষ্ঠানের পূর্ব নির্ধারিত লক্ষ অর্জন নিশ্চিত হয়।


প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য

মানব সম্পদ প্রতিষ্ঠানের প্রান এবং প্রধান চালিকা শক্তি। মানব সম্পদ দ্বারা প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত আরোপের সম্পদ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা এবং নিয়ন্ত্রণ করা হয়। তাই একদিকে তাকে প্রতিষ্ঠানের নীতি, কার্য-পদ্ধতি, উদ্দেশ্য সম্পর্কে পরিচিত হতে হয়, অপর দিকে পেশাগত দক্ষতা, যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ও সামর্থ্য থাকতে হয়। প্রশিক্ষণের এক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপুর্ণহাতিয়ার।প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যকে আমরা নি¤œরুপে আলোচনা করতে পারি:

১. নতুন কর্মীর প্রতিষ্ঠান পরিচিতি: প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত নতুন কর্মীদের কার্যের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে পরিচিত করা হয এবং সাথে সাথে প্রতিষ্ঠান সম্পর্কেও ধারণা দেয়া হয়।

২. প্রতিষ্ঠানের নীতি, পদ্ধতি সম্পর্কে জ্ঞানদান ঃ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মীদের মধ্যে প্রতিষ্ঠানের আদর্শ-দর্শন, নীতিপদ্ধতি, কার্যধারা, লক্ষ্য-উদ্দেশ্য সম্পর্কে জ্ঞান দান করা হয়। ফলে তারা এসকল বিষয়ের প্রতি সর্বদা যতœবান থাকে।

৩. ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে জ্ঞানদান:শিক্ষণের মাধ্যমে কর্মীদের প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা প্রকৃত ও প্রযুক্তি সম্পর্কে ধারণা দেয়া হয়। ফলে কর্মী-ব্যবস্থাপনার মধ্যে দূরত্ব হ্রাস পায় এবং সৌহার্দ্যমূলক সম্পর্ক সৃষ্টি হয়।

৫. আইন-কানুন সম্পর্কে জ্ঞানদান: প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় বিভিন্ন আইন কানুন জানা দরকার। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মীদের শ্রম ও শিল্প আইন, মজুরি আইন, শ্রম নীতি, ক্রেতা অধিকার সংরক্ষণ আইন, বেতন ও মজুরী আইন ইত্যাদি সম্পর্কে কর্মীদের প্রয়োজনীয় জ্ঞানদান করা যায়।

৬. আচরণ ও মনোভাবের উন্নয়ন: কর্মীরা যেন প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীন পরিবেশ পরিস্থিতির আলোকে নিজেদেরকে তৈরি করতে পারেন। প্রয়োজন অনুযায়ী অন্যদের সাথে আচার-আচরণ করতে পারেন। সহযোগীতামূলক মনোভাব প্রকাশ করতে পারেন এজন্য প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। ফলে কর্মীদের মনোভাব ও মানসিকতার পরিবর্তন হয়।

৭. দক্ষতা বৃদ্ধি:কর্মীদের কার্য সম্পাদন জ্ঞান, দক্ষতা, কৌশল বৃদ্ধির জন্যই মূলত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। প্রশিক্ষণের ফলে কর্মি আরো দক্ষ ও পারদর্শী হয়ে উঠে।

 ৮. দুর্ঘটনা রোধ: প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মীদের কার্যসম্পাদন সম্পর্কে আধুনিক ও বাস্তব জ্ঞান অর্জনের সুযোগ দেয়া হয়। ফলে সে কার্য সম্পাদন সম্পর্কে দক্ষ হয় এবং দুর্ঘটনা সম্পর্কে সতর্ক ও সজাগ হয়। ফলে কার্য সম্পাদন সম্পর্কিত দুর্ঘটনা ও ঝুঁকির মাত্রা হ্রাস পায়।

৯. আত্মবিশ্বাস উন্নয়ন: প্রশিক্ষণের ফলে স্বীয় কার্য দক্ষতার সাথে সম্পাদন বিষয়ে কর্মীর মনে আত্মবিশ্বাসের সৃষ্টি হয়। সে স্বেচ্ছায় স্বীয় উদ্যোগ স্বীয় কার্য দক্ষতার সাথে সম্পদের চেষ্টা করে। এতে তত্ববধান এর প্রয়োজনীয়তা হ্রাস পায়।

১০. সামাজিক দক্ষতা উন্নয়ন: প্রশিক্ষণের দ্বারা কর্মীদের মনোভাব এবং আচার-আচরণের পরিবর্তন হয়। ফলে প্রত্যেকের মধ্যে ব্যক্তিস্ব্রাতন্ত্র্যতা, ভাব প্রকাশের ধরণ, বক্তব্য উপস্থাপনের ক্ষমতা, প্রতিনিধত্ব করার যোগ্যতা বৃদ্দি পায়। এ সকল কারণে সমষ্টিগতভাবে তার সামাজিক দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।

১১. মানবিক সম্পর্ক উন্নয়ন: প্রশিক্ষণ কর্মীদের মধ্যে মানবিক সম্পর্ক উন্নয়নে সহায়ক হয়। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মীদের মধ্যে শিক্ষা দেয়া প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে কিরুপে দলগতভাবে কাজ করতে হবে, থাকতে হবে, পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়ন করতে হবে। ফলে সামগ্রিকভাবে কর্মীদের মাসবিক সম্পর্কের উন্নয়ন হয়।

১২. পরিবর্তন সম্পর্কে জ্ঞানদান: প্রয়োজন, পরিবেশ, পরিস্থিতি, ক্রেতাদের রুচি এবং অভ্যাস সবই পরিবর্তণশীণ। এই পরিবর্তন সব কিছুর সাথে খাপ খাওয়ানের ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ অতি ফলপ্রসু হাতিয়ার। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পরিবর্তিত পরিবেশ পরিস্থিতি সম্পর্কে সর্বশেষ তথ্য কর্মীদের অবহিত করা হয়। ফলে পরিবর্তিত অবস্থার সাথে খাপ খাওয়া সংক্রান্ত তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি পায়

১৩. সম্পদের সদ্ব্যবহার ও অপচয় হ্রাস: ্রশিক্ষণের ফলে কর্র্মীদের মধ্যে সম্পদের সর্বোচ্চ এবং কাম্য সদ্ব্যবহার সম্পর্কে ধারনা দেয়া হয়। ফলে তারা সীমিত সম্পদের সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারে এবং ফলশ্রæতিতে অপচয় ব্যাপক মাত্রায় হ্রাস পায়।

১৪. নিরাপত্তা বিধান: প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কার্যসম্পাদন সংক্রান্ত বিভিন্ন দিক, ঝুঁকি, অনিশ্চয়তা, সৃবিধা, জটিল উৎপাদন প্রক্রিয়া ইত্যাদি সম্পর্কে কর্মীদের অবহিত করানো হয়। ফলে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মি অত্যন্ত আস্থা ও নিরাপত্তার সাথে তার কার্য সমাধা করত পারে।

 ১৫. বহুমূখি দক্ষতা বৃদ্ধি:কার্য সম্পাদনের উপযোগী বিভিন্ন দিক সম্পর্কে কর্মীদের প্রতিনিয়ত বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। ফলে তাদের মধ্যে বহুমূখি জ্ঞান-দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।

১৬. অকেজো অবস্থা থেকে রক্ষা: প্রশিক্ষণ কর্মীদের কার্য সম্পাদন দক্ষতা, পদ্ধতি, প্রক্রিয়া বিষয়ে, পরিবর্তিত পরিবেশ, পরিস্থিতি বিষয়ে সতর্ক করে তোলে, ফলে কর্মীরা অকেজো হয় না- সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে ধারনা রাখ প্রশিক্ষণের গুরুত্ব

মাঠ র্পযায়ে সরকারি প্রতষ্ঠিানে নিয়োজিত কর্মীকে তার বিভিন্ন কাজ সম্পাদন বিষয়ে শিক্ষণ দেয়াই হলো প্রশিক্ষণ। কর্মী নিয়োগ এবং সঠিক স্থানে তাকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়ার পরই আসে প্রশিক্ষণের বিষয়। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মী কার্য সম্পাদন বিষয়ে বাস্তব জ্ঞান দক্ষতা, যোগ্যতা ও অভিজ্ঞাতা অর্জন করতে পারে। কার্য সম্পাদনের সর্বশেষ কৌশল অর্জন করতে পারে। ফলে তার কাজটিও দক্ষতার সাথে করতে পারে। তাই প্রশিক্ষণ হলো কর্মীর সাফল্যের চাবিকাঠি। নতুন ও পুরাতন কর্মিদের র্কমদক্ষতা অভিজ্ঞাতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নম্নিে প্রশিক্ষণের গুরুত্ব বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলোঃ

১.          দক্ষতা ও যোগ্যতা বৃদ্ধি : প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নতুন এবং পুরাতন কর্মীদের দক্ষতা ও যোগ্যতা বৃদ্ধি করা যায়। ফলে পরিবর্তনশীল পরিস্থিতিতে কাজ করার ক্ষেত্রে তাদরে কাজ সম্পাদন কোন সমস্যা হয় না।

২.         পরিবর্তনকে স্বাগত  :  সব কিছুই পরিবর্তনশীল। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উৎপাদন ও বন্টন প্রক্রিয়ায় আধুনিক ও পরিবর্তনশীল প্রযুিক্ত, কৌশল সম্পর্কে কর্মীদের অবহিত করা হয়। ফলে তারা পরিবর্তনকে স্বাগত জানায়

৩.         সহযোগীতা নিশ্চিত  :  প্রতিষ্ঠানের পূর্ব নির্ধারিত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য সকল বিভাগের, সকল কর্মীর, সকল কাজের মধ্যে সহযোগিতাও সমন্বয় প্রয়োজন হয়। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এই সহযোগিতা নিশ্চিত করা যায়। লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জন সহজ হয়।

৪.         মনোবল বৃদ্ধি এবং দুর্ঘটনা হৃাস : প্রশিক্ষণের ফলে কর্মীদের মনোবল কার্যসম্পাদন যোগ্যতা ও স্পৃহা বৃদ্ধি পায়। ফলে তারা আস্থাও দক্ষতার সাথে কার্য সম্পাদন করতে পারে। এতে কারে দুর্ঘটনা হৃাস পায়।

৫.         তত্ত্বাবধান সহজ  :  প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মীদের কার্যসম্পাদন যোগ্যতা, দক্ষতা বৃদ্দি পায়। ফলে তারা তত্ত¡বধায়কের সাহায্য ছাড়াই কার্য সম্পাদন করতে পারে। এতে তত্ত¡বধান সহজ হয়

৬.         মিতব্যয়িতা অর্জন  :  প্রশিক্ষণের ফলে কর্মীরা দক্ষ হয়ে উঠে। প্রতিটি কার্য স্বল্প সময়ে, স্পল্প অপচয়ে এবং দুর্ঘটনা মুক্ত অবস্থায় দক্ষতার সাথে সম্পাদিত হয়। ফলে সামগ্রিকভাবে উৎপাদন ব্যয়-অবচয় হৃাস পায়, পণ্যের গুণাগুন উন্নত হয এবং মিতব্যয়িতা অর্জিত হয়।

৭.         সম্পদের সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার  :  বাংলাদেশের প্রধান সমস্যা সম্পদের অভাব নয়, সম্পদের সদ্ব্যবহারে ব্যর্থতা। প্রশিক্ষণ কর্মীদের দক্ষ করে তোলে। ফলে প্রতিষ্ঠিত সকল সম্পদের সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করা যায়।

৮.         মানবীয় সম্পর্কের উন্নয়ন  :  প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মীরা প্রতিটি কাজ সম্পর্কে, অপর পর কর্মিদের দক্ষতা, যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারে। ফলে প্রতিষ্ঠানের মানবীয় সম্পর্কের উন্নয়ন হয়।

৯.         দক্ষ মানব সম্পদ গঠন  :  প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মীদের কার্যের প্রকৃতি ও ধরণ, পদ্ধতিওকৌশল ইত্যাদি সম্পর্কে বাস্তব জ্ঞান বৃদ্ধির চেষ্টা করা হয়। ফলে প্রতিটি কর্মীই দক্ষ হয়ে উঠে এবং সম্পদে পরিনত হয়। এতে প্রতিষ্ঠানে এবং সামগ্রিকভাবে দেশে দক্ষ মানব সম্পদ গঠন সহজ হয়।

১০.        কর্ম সন্তুষ্টি বৃদ্ধি  :  প্রশিক্ষণের দ্বারা কর্মীরা কার্য সম্পর্কে দক্ষ হয়। কাজের প্রতি তাদের আগ্রহ, উৎসাহ, আন্তরিকতা ও মনোবল বৃদ্দি পায়। এতে করে তাদের কার্য সন্তুষ্টির পরিমাণ ও মাত্রা বৃদ্দি পায়।

১১.        নমনীয়তা বৃদ্ধি  :  প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মীদের একাধীক কার্য ও পদ্ধতি সম্পর্কে অভিজ্ঞ করে তোলার চেষ্টা করা হয়। ফলে প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনে তাকে অন্য অফিস শাখা বা কাজে বদলী করা হলেও নতুন কার্য পরিবেশে গিয়েও সে দক্ষতার সাথে কাজ সম্পাদন করতে পারে। তার মধ্যে প্রতিবন্ধকতা কাজ করে না।

১২.        দায়িত্ববোধ সৃষ্টি  :  প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মীদের তাদের কার্যক্রম এবং প্রতিষ্ঠানের প্রতি তাদের সম্পর্কে সচেতন করে তোলা যায়। দক্ষতা, উপযুক্ততা বৃদ্ধি পেয়ে প্রতিষ্ঠানের প্রতি কাজের প্রতি কর্মীদের দায়িত্ববোধের সৃষ্টি হয়।

১৩.       দেশের সার্বিক উন্নয়ন  :  প্রয়োজেনের আলোকে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি গ্রহন ও তার বাস্তবায়ন করার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের মানবীয় সম্পদকে দক্ষভাবে গড়ে তোলা যায়। তাদের দ্বারা সকল বস্তুগত সম্পদ পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ করা যায়। ফলে সামগ্রিকভাবে দেশের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা যায়।